Severity: Notice
Message: Undefined variable: newsPosition
Filename: models/Write_setting_model.php
Line Number: 188
Backtrace:
File: /home/sottokonthonews/public_html/application/models/Write_setting_model.php
Line: 188
Function: _error_handler
File: /home/sottokonthonews/public_html/application/controllers/Print_article.php
Line: 11
Function: home_category_position
File: /home/sottokonthonews/public_html/index.php
Line: 316
Function: require_once
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ বুধবার ব্রাসেলসে ন্যাটো নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। এখানে দুই পক্ষের তুমুল বাগ্বিতণ্ডার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সফরের আগে ট্রাম্প বাণিজ্য নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও প্রতিরক্ষা খাতে যথেষ্ট ব্যয়ে ব্যর্থ হওয়ায় ন্যাটো নেতাদের কড়া সমালোচনা করেন।
বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনার জবাবে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক কটাক্ষ করেন, তিনি (ট্রাম্প) ‘প্রায় রোজই’ ইউরোপের সমালোচনা করছেন।
টাস্ক বলেন, ‘প্রিয় আমেরিকা, মিত্রদের বাহবা দাও। কারণ, মোটের ওপর তোমার তেমন মিত্র তো নেই।’
ইইউ প্রতিরক্ষা খাতে রাশিয়ার চেয়ে বেশি এবং চীনের সমান ব্যয় করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইইউয়ের চেয়ে ভালো মিত্র নেই এবং পাবে না উল্লেখ করে টাস্ক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্মরণ করিয়ে দেন, ইউরোপিয়ান সেনা ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলার পর আফগানিস্তানে যুদ্ধ করেছে এবং মারা গেছে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভবিষ্যদ্বাণী করেন, আগামী সোমবার ফিনল্যান্ডে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর শীর্ষ বৈঠকের চেয়ে ন্যাটোর সঙ্গে বৈঠক কঠিন হবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, ন্যাটো জোটের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের ‘দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে’। ন্যাটো ১৯৪৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নকে মোকাবিলার জন্য গঠন করা হয়।
ট্রাম্পের মূল আপত্তি, ইইউয়ের বেশ কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র ২০১৪ সালে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধি করেনি।
যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে তার জিডিপির ৩ দশমিক ৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করে। ইইউয়ের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে গ্রিস, যুক্তরাজ্য ও এস্তোনিয়া ২ শতাংশের ওপরে ব্যয় করে।
ওয়াশিংটন ন্যাটোর ২২ শতাংশ পরিচালন ব্যয়ভার বহন বরে। তবে ইইউয়ের কর্মকর্তারা বলে থাকেন, আমেরিকার মোট প্রতিরক্ষা ব্যয়ের মাত্র ১৫ শতাংশ ইউরোপ ও ন্যাটোর কাজে খরচ হয়।
অতীতেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা ইইউয়ের সদস্য দেশগুলোকে প্রতিরক্ষা খাতে বেশি ব্যয় করতে বলেছেন। কিন্তু ন্যাটো আশঙ্কা করে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপর্যুপরি কাঠখোট্টা দাবি মনোবলের ক্ষতি করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের উদ্দেশ্য হাসিলে কাজ করতে পারে। পুতিন পাশ্চাত্যকে অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা করছেন বলে ইইউয়ের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন।
সূত্রঃ প্রথম আলো